Purposeless -Soumyanetra

Tears have a strange nature

Sometimes they’ll fill up the eyes

But not drop over

They’ll roll from one end of the eye

To the other, as if looking for something

Like they’re looking for refuge and relief

On one corner, but not finding them

They roll over to the other, looking for

Love and hope and succour

And again not finding them

They’ll keep rolling over 

From corner to corner

Over the curve of the kohl lined eyes

Wetting the lashes perhaps

Caressing the darkness

As they moisten it

But still holding on

Tightly, boldly, never to fall…

Yet knowing very well

That if they did

If they let go

Then perhaps their purpose 

Will be served

The reason they were born

Will be fulfilled

If only they fell over

But they won’t

They will just remain

Like unforgiving, unyielding

Remnants of purposeless birth…

-Soumyanetra

My Views on Life – Prianshu Nandi 

Life itself is a boon to humanity
Our duty is to maintain its prosperity.
We explore its enigma every now and then
Like I’m doing the same with my pen.

The meaning of life differs amongst us
According to our respective purpose.
Some can discover for what they are made
And some invariably scratch their head.

We prefer our life towards sophistication
And tend to be busy in its decoration.
We integrate us with so-called ‘modernism’
And deliberately cheer for the pessimism.

Just once fall in love with your life
Trust me dude, you will get rid of your strife,
Your ups and downs have no emphasis
Look back on your wisdom, an absolute bliss.

Don’t judge this poem to be too life-oriented
As my life is just at seventeen yet.
Lets flourish through the river of existence
I know, for some it may not make sense.


Author Affiliation:

Prianshu Nandi, 12th Board CBSE 2023 (Jermel’s Academy)
Siliguri, Dist: Darjeeling, West Bengal
Passion: Music (Tabla Artiste), Poetry

আঘাত  – অর্পিতা সিংহ চৌধুরী 

স্বনামধন্য অধ্যাপিকা ডঃ ঋতা চট্টোপাধ্যায় স্মরণে ২৫শে এপ্রিল ২০২৩ সকালে লেখা

 

আঘাতের কোনো সংজ্ঞা হয় না তাই,

বার-বার করে আহত হয়েই যাই,

আঘাত মাপার যন্ত্র হয় না বলে,

শ’য়ে শ’য়ে লোক আঘাত চলল সয়ে।

আঘাত করলে আহত হওয়াই শ্রেয়,

আহতের কোনো আদর পাওয়া কি প্রেয়?

আঘাতে-আঘাতে শেষ হন কত গুরু–

আহত শিষ্য একা পড়ে পাঠশালে।

গ্রীষ্ম গিয়েও,বর্ষা এলো যে নেমে,

রাত্রি পেরিয়ে দিনেরাও আসে কাছে,

আঘাত সয়েই গুরু পাড়ি দেন দূরে,

হারানো সুরের তানখানা বেঁধে সুরে!

শিষ্য সে কথা ভোলে না কখনও,

ডাকে —

শ্রদ্ধার ডাক, ডাকা হয় না যে আর–

আঘাতের ক্লেশ হজম হয় না যার,

স্নেহাশিস তার লাঘব করে যত ভার!

** প্রাক্তন ছাত্রী, সংস্কৃত বিভাগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

রামচন্দ্রের লঙ্কা অভিযান –    – সান্ত্বনা দে

শিলা ভেসেছিল সাগরের জলে
রাম রঘুমণি নামে।
কপি সেনা রাজি ডিঙ্গিল সাগর
উপিল লঙ্কা ধামে।
লঙ্কা ধামেতে শিবির রচিল
কপি সেনা সব যত,
সমরে রাবণে পরাজিত করি
সীতা উদ্ধারে রত।
লঙ্কা সমরে হল অবশেষে
রক্ষকুলের নাশ,
রামের কৃপায় বিভীষণ পেল
সিংহাসনের রাশ।
রাবণে নিধন করি অবশেষে
সীতারে মোচন করি,
বিভীষণে অভিষেক সেথা
প্রজারা লইল বরি।
দাশরথী এল পিতৃভূমিতে
সীতাকে সঙ্গে নিয়ে
প্রজা সমুদয় হর্ষে মাতিল
প্রাণেতে ফিরিল হিয়ে।

* শৈলজানন্দ ফাল্গুনী স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

ভালো লাগা – রণজিত দাস

আজও ভাললাগে নির্জন পথে একা একা হেঁটে যেতে,

হেমন্তের শান্ত সন্ধ্যায় জ্যোৎস্নার আলো কোন বনপথে ।

হালকা রোদ পিঠে মেখে চড়ুই এর গান আর ফড়িঙের নাচ-

নিস্তব্ধ দুপুরে আবেশ জড়ানো ঘুঘুর ডাক,

                                   আজও বড়ো ভালো লাগে।

কুয়াশার বুকে ভেসে যায় ভোরের প্রথম ট্রেন,

থেমে থাকা স্টেশানে নিয়ে আসা রেখে দেয়া শস্যে শিশিরের গন্ধ –

মাটির দেয়ালে অবোধ শিশু এঁকে যায় এরোপ্লেন,

মুঠি খুলে কিছু দিলে ছড়ায়  অকৃপণ হাসি –

                                আজও হৃদয়ের বড়ো কাছাকাছি ।

পাতা ঝরার দিন কবে কে জানে!

তবু জানি হে মহাকাল একদিন চলে যেতে হবে,

ফেলে রেখে পিছুটান যত কিছু

মুঠি ভরে দিয়ে দিও স্মৃতির ভাঁড়ার থেকে ভাললাগাটুকু।


* প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার।

ভয় পায় আমার বিশ্বাস – দেবব্রত মুখোপাধ্যায়

বিশ্বাস ভাঙবে?  
আমি  ভাবিনি বিশ্বাস ভাঙবে বিশ্বাস
ঝড় উঠেছে হৃদয়ময় 
এলোমেলো সব হয় 
কাঁদতেও ভয় হয়

বিশ্বাসকে ভয় পায় আমার বিশ্বাস।

আসুক ভয় আসুক ঝঞ্ঝা ছাড়ি না বিশ্বাস 
 বিশ্বাস হারালে শূন্যময় 
নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয় 
জীবন তো স্রোতোময়
রাখতেই হবে নিজের উপর বিশ্বাস ।

যে ভাঙে ভাঙুক যত ইচ্ছা বিশ্বাস
সে আমার নয় 
সে কারোর নয় 
সে নিজেরও নয়
আমি হারাবো না আমার বিশ্বাস।


* সম্পাদক, হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ।

বন্ধন – শিখা সেনগুপ্ত

জীবন বহমান , জীবন চলমান –

কখন ও সূর্যোদয় , কখন ও অস্তাচল

কখন ও মেঘ , কখন ও ঝলমল রোদ্দুর ,

জীবনের এই জলছবির খাতায় –

আমরা ক’জন বন্ধনের আঙিনায়

সবারে করি আহ্বান – মিলিত শক্তির স্রোতে,

ভরা জীবনে পরিপূর্ণ কোরকের প্রতিশ্রুতি ।

সাদর আমন্ত্রণ , সহৃদয় মন , ভালবাসা –

সহস্র মনন আজ ভরপুর শক্তির সমাহার।


* প্রাক্তন অধ্যাপিকা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, হিরালাল মজুমদার মেমরিয়াল কলেজ ফর্ ওম্যান।

আষাঢ়স্য প্রথমদিবসে – তারকনাথ অধিকারী

আষাঢ়ের প্রথম দিনে জমে উঠেছে মেঘ 
মেঘের পরে মেঘ, মন ভার ।
যক্ষে যক্ষে থই থই
 রামগিরির রক, গাছতলা, গলি রাজপথ ।
এদিকে জানালা এঁটে দিনভোর
কেবল্ টিভিতে দিনভোর দুরন্ত প্রোগ্রাম ।
যক্ষদের কনকবলয় খসে খসে পড়লেও
 যক্ষপ্রিয়াদের দীর্ঘশ্বাসের সময় কই ?

রাস্তাঘাট এক পশলাতেই মাৎ
আপিস বাজার সব কাৎ ।
কাজের মেয়ে আসেনি বলে
 এঁটো বাসনের তড়িৎ ঝনঝনানি ।
 এরপর ‘অন্তর্বাষ্পঃ সন্’ ?   
রক্ষে করো মহাকবি ।

আষাঢ়ের প্রথমদিনে ধুলো ঝেড়ে বসি
হাতে মেঘদূত, চোখে গাঢ় আশা
ঐ বুঝি মেঘের ফাঁকে উজ্জয়িনীর ভবনবলভী,
রুদ্ধালোকে নরপতিপথে যৌবন উতরোল, 
মহাকাল মন্দিরে পটহের দ্রিমি দ্রিমি রব,
বিশীর্ণা রেবা মেঘের চুম্বনে তোলে কলরোল ।                                                                                             

রামকহো ! কোথা বেত্রবতী ?
নর্দমার কালোজল ছাপিয়ে উঠোন পয়মাল।
বাজার হয়নি বলে গিন্নির মুখঝামটানি
হেবোর বাড়ী থেকে হিন্দি টেপধ্বনি ।                                                                                                                           

দুপুর গড়িয়ে সন্ধে
হাঁড়িমুখো আকাশে শবের চেহারা ।
গালে হাত, সামনে মেঘদূত —
কোথা যেন নিত্য বসন্তের রাজ্য ?
কোথা যেন নিত্যপুষ্প প্রিয়াবাসভূমি–
 আনন্দোত্থিত নয়নজলে প্রেম-আলিঙ্গন ?
টিভির পর্দায় ঝাঁকে ঝাঁকে শরীরী কসরত্  
মুম্বাই এর খাঁজে খাঁজে রোমিও জুলিয়েত্।


* অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

এক লেখকের বিরাগ – অনুবাদক-  কুমারজিৎ মণ্ডল

“পাণ্ডুলিপি পোড়ানো যায় না”                                                                                                          
কারা যেন বলেছিল!                                                                                                    

কিন্তু তুমি তা জানতে –                                                                                                                               
আত্মাকে ঝলসেছে যে আগুন,
হৃদয় নিংরানো যে যন্ত্রণা,
 ধিকি ধিকি করে জ্বলতে থাকা যে অপমান,
 সব নিভে যাবে একদিন মৌনতার অবগুণ্ঠনে ।

তোমার সময় মানে –
 নিঃসীম অপেক্ষার এক একটা মূহুর্ত,  
  ভয়ার্ত উপেক্ষার এক একটা চাবুক,  
 অশেষ ভীরুতার এক একটা স্তর,
 অনতিক্রম্য বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ।

তোমার সেই সময়কে শ্লথ করে –
 তিরস্কারের ভার,  
আশা-আকাঙ্খার বোঝা,
সত্বাকে কুঁকড়ে দিয়ে নির্মাণ করা  
 যন্ত্রণা আর হতাশার পাঁচিল।

তুমি কেমন করে অতিক্রম করবে
 তোমার সেই সময়কে ?
  কিভাবে খুঁজে পাবে তোমার অবিনশ্বর সত্ত্বার
 জন্য এক টুকরো আশ্রয় ?
যেখানে তুমি স্থিত থাকবে,
 উজিয়ে যাবে না ।

তুমি কিভাবে গোপন রাখবে তোমার অপরিতৃপ্ত ইচ্ছার যন্ত্রণা –
যে ইচ্ছায় ভর করে অন্ধের মতো তার হাত ধরেছিলে  
পেরিয়ে যেতে চেয়েছিলে ওই সুগন্ধী উপত্যকা –
সেই আস্থা খুঁজে পায়নি তোমার প্রশ্নের উত্তর ।
এক বিভ্রমে মুখ ঢাকে নির্মলতা,
নির্মলতা আড়াল করে আরোপিত বিধান ।
অট্টহাসি দেখিয়ে দেয় নিরাময় অযোগ্য ক্ষতচিহ্নগুলি,  
নাটকের উপাদান সাজান হয় শূণ্যতাভরা স্বাভাবিকতায়,
অনুভূতিগুলি হারিয়ে যায় কণ্ঠরোধী গর্বের উন্মাদনায় ।

তোমার কলম থেকে নির্গত হয়েছে যা কিছু –
 তোমার গোচর বা অগোচর,
ঘটিত বা অঘটিত ,
মূর্ত বা বিমূর্ত,
 এখানে বা নেই কোনখানে,  
চিরায়ত বা নশ্বর –
 সবই নিক্ষেপিত হয়েছিল বহ্নিশিখায় ।

কিন্তু সেই দগ্ধ পাণ্ডুলিপি লুপ্ত হয়নি –
জেগে উঠছিল এক নতুন জীবনবোধে,
যাত্রা করেছিল এক নতুন অমরত্বের পথে,
 যেমন জন্ম জন্মান্তরে দেহ থেকে দেহান্তরে
বিন্যস্ত থাকে আত্মার আবর্তন ।

সৃষ্টিকর্তা সতত আহ্বান করেন
যে সৃষ্টিসুখের উৎসবে –  
 ক্লান্ত দৈনন্দিনতার একঘেয়েমি কাটিয়ে
একরাশ স্বপ্ন আর প্রত্যাশায় সিঞ্চিত হয়ে,
আমরা চলি তাতে যোগ দিতে
পাণ্ডুলিপির নতুন ঠিকানায় ।

* মূল কবিতাঃ Angst of a Writer. কবিঃ সৌম্যনেত্রা মুন্সী। (নীচে মূল কবিতাটি দেওয়া হল)

** অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।


Angst of a writer

Soumyanetra

‘Manuscripts don’t burn’ they say

How could they?

The fire that torments the soul

The pain that wrings the heart

The insults that simmer 

At the edges of the 

Carpet of silence

Every moment of eternal wait

Every slap of cowering indignity

Every shred of monumental fear  

Of never being able to overcome

All that is

And all that will be

Diminutive existence

Burdened with reprimands

Yoke of expectations and delivery 

How will you transcend your times?

How will you find the smallest corner

To not perish?

And be swept away?

How can you not express?

That painful longing for 

Holding that dear hand

Crossing the aromatic valley

Blind-folded with him

The trust that eludes 

The answers you search

The delusion that fogs sanity

The sanity that smacks of imposition  

The laughter that reveals wound

The wound that defies healing

The drama that normality entails

The normality that builds on vacuousness

Emotions that get lost in pride

Pride that ties your tongue…

How all things perceived 

And all things unperceived 

Things that never were

And those that have been

Here and nowhere

Forever and not for once

Have flown through your pen

And then got charred and bruised

And burned down 

Others with them

But have still survived

Thrived and grown

Like souls changing worn out bodies

Lives after lives

Immortality and imperishability

Have kissed them deep

Sifting through banalities 

Of the mundane and the routine

Celebrating the creation 

Of the creator

In the eternal festival 

Where all of us are invited

In the abundance of hopes

And bounty of dreams

We carry on.

যে মক্কায় আমি যেতে চাই না – অনুবাদক- কুমারজিৎ মণ্ডল

তুমিই তো সেই মক্কা –

তোমার কথা ভাবলেই    
শয়ণে স্বপ্নে 
আমার চেতনা ছন্দহীন   
হয়ে পড়ে।
তোমার কথা মনে পড়লেই
আগামী দিনের জন্য
প্রেম আর আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে
 রাখতে ইচ্ছা হয়।

তোমার ভাবনায় মিশে যেতে যেতে  
 আমি ঘুমের দেশে তলিয়ে যাই,
পৌঁছে যাই অচেনা উপত্যকায়-
সেখানে জলে আমি সাঁতার কাটতে পারিনা –
শুধু জলকেলি করি।

যত তোমার কাছে যেতে চাই –
তত আবার দূরে চলে যেতে চাই।
যত তোমাকে আমার স্বপ্ন থেকে ঝেড়ে ফেলতে
 চাই –  
ততই আবার তোমাকে জড়িয়ে ধরতে চাই।
 তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও
বলতে ইচ্ছা করে না।

তুমি সেই কুহেলিকা –
তোমাতে ডুব দিয়ে
তোমার ঘ্রাণ আমার অবচেতনায়
ধীর লয়ে মিশিয়ে নিয়ে
 লীন হয়ে যেতে চাই ।

তোমার গোপনীয়তায় আমার তৃপ্তি খোঁজা,
তোমার চিন্তায় আমার বিচরণ ।
তোমাকে ছাড়িয়ে অনেক দূরে
চাঁদের ভেলায় চড়ে
 কোন এক স্বপ্নপুরে
সংগোপনে
রাত্রির নিস্তব্ধ অভিসারে
হারিয়ে যাওয়ায় আমার আনন্দ ।
কিন্তু তারপর –
তারপর আবার ফিরে আসতে চাই
আপন ঠিকানায় ।

তাই মক্কা,
আমি আর তোমার কাছে
যেতে চাই না।                                                                                                                                                            

* মূল কবিতা : You are Mecca I never want to visit.  কবি : সৌম্যনেত্রা মুন্সী। (নীচে মূল কবিতাটি দেওয়া হল।)

** অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।


You’re the Mecca I never want to visit

Soumyanetra

You’re the Mecca I think about when 

Consciousness tip toes on the border 

Of my slumber and my dreams,

Lightly stroking the hopes and pleasures

Of the day that lay ahead 

You’re the Mecca I think about

When I want to fall asleep

And gradually slide down that valley

I’ve never been to

And surf the waters that I can’t swim

The more I want to go near you

The more I don’t want to

The more I wish to put you out of my dreams

The more I wish to cling on to you

The more I wish to talk to you

The more I wish not to 

You are the enigma I want to bathe in

The aroma I want to inhale

But slowly 

So slowly that it’s almost subconscious

I want to snuggle in your secrets 

And wander in your thoughts

And want to keep you that much far from me

So that the full moon can row me 

Across the night 

And across adventures

And across tranquility

In the ocean of dreams

And put me safely back 

You’re the Mecca I never want to visit.